০৪/০৭/২০২৩ইং প্রকাশিত।

বিষেশ প্রতিনিধি ঢাকাঃ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  মঙ্গলবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সময় আর নেই, সরকারের সময় শেষ’- এই শিরোনামে দেওয়া মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুধু অসাংবিধানিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহমূলকও বটে। বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে গণতন্ত্র-বিরোধী ও ষড়যন্ত্র-নির্ভর রাজনৈতিক দল। তারা অসাংবিধানিক পন্থায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালায়। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ বা সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপির নেই। সরকারের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার তিনি কে? জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।  আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতা দখলে বেপরোয়া বিএনপি বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের আশায় মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের বিদেশি প্রভুরা নির্বাচন নিয়ে কী বলবে, সেদিকে তারা মুখিয়ে থাকে। ক্রমাগতভাবে জনগণের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে দেশের জনগণের ওপর বিএনপি বিশ্বাস হারিয়েছে। বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে মদদপুষ্ট হয়ে তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। ফলে বিএনপি কখনোই জনকল্যাণের নীতি গ্রহণ করতে পারেনি এবং জনগণও তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। বিএনপি ক্ষমতায় এসে এ দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করেছিল, ভোট চুরির নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি আমলে পরিচালিত অপশাসন ও দুর্নীতির কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘুদের ওপর নারকীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছিল, ভিন্নমত দমনে ইতিহাসের জঘন্য নজির স্থাপন করেছিল। সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২৪ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ সেই অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না। উন্নয়ন অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছেন।

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started
close-alt close collapse comment ellipsis expand gallery heart lock menu next pinned previous reply search share star